Sunday, October 7, 2012

যতো ইচ্ছে মোবাইল সিম কেনার সুযোগ বন্ধ করতে নীতিমালা করছে বিটিআরসি


 ইচ্ছে মতো গ্রাহক যাতে সিম কিনতে না পারে সেটি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা -বিটিআরসি। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করছেন তারা। নীতিমালায় একজন গ্রাহককে একটি অপারেটর থেকে সর্বোচ্চ চারটি সিম কেনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে সিম কেনা হলে তারা এই নিয়মের মধ্যে পড়বেন না। তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছেন, এমন নীতিমালা পুরো সেক্টরের প্রবৃদ্ধির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
সম্প্রতি বিটিআরসিসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে অসংখ্য সিম ধরা পড়েছে যেগুলো অবৈধ কার্যক্রমে ব্যবহার হচ্ছিল। দেখা গেছে, ধরা পড়া সিমগুলোর মধ্যে শত শত সিম একেকজনের নামে নিবন্ধন করা রয়েছে। গণহারে সিম কিনে তা অপরাধমূলক কার্যক্রমে যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্যে এ বিষয়ে নিয়মের একটু পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, অপরাধীদের জন্যে কাজটি সমান্য কঠিন করতেই এই নীতিমালা করতে যাচ্ছেন তারা।
বিটিআরসি জানিয়েছে, ১১ জুলাই উত্তরায় ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবসার জন্যে যে অসরপ্রাপ্ত মেজরকে ধরা হয়েছে তার এক নামেই ২৬০টি সিম পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা বলেন, অপরাধীদের জন্যে কাজটি একটু কঠিন করা হচ্ছে। এতে প্রকৃত গ্রাহকরা মোটেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
ইতিমধ্যে তৈরী হওয়া খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, একজন গ্রাহক একেকটি অপারেটর থেকে সর্বোচ্চ চারটি সিম কিনতে পারবেন। সেটি হলে দেশে মোট ছয়টি অপারেটর থেকে তার সিম কেনার সুযোগ রয়েছে ২৪টি। তবে এই সংখ্যা আরো কমানোর পক্ষপাতি বিটিআরসি’র অনেকেই। তারা বলছেন, এক অপারেটর থেকে চারটি সিমসহ মোট সর্বোচ্চ দশটি সিম কেনার সুযোগ দিলেই হয়। কারণ কোনো ব্যক্তির জন্যেই দশটি সিমের প্রয়োজন নেই। তবে ১৮ বছরের কম যাদের বয়স তাদের ক্ষেত্রে সিম কেনার ক্ষেত্রে যেহেতু বিধি নিষিধে আছে সে কারণে তাদের অভিভাবকের নামে সিম তুলতে হয়। এ কারণে এক নামে সিম কেনার সুযোগ একটু বেশী রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিটিআরসি’র অপর এক কর্মকর্তা।
কয়েক দিনের মধ্যে নীতিমালাটি সরকারের অনুমোদনের জন্যে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ।

No comments :

Post a Comment