ল্যাপটপের আগুনে পুড়ে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ শওকত মাসুদ (৪৩) নিজের বাসায় পুড়ে মারা গেছেন। ৭ অক্টোবর দুপুর পৌনে ১২টায় তাঁকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটি নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আগুনে মাসুদের সারা শরীর পুড়ে যায়।

গ্রাফিক্স
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “মিরপুরের কাজীপাড়ার ওই বাসায় মাসুদ একাই থাকতেন। ল্যাপটপ বিস্ফোরিত হলে তিনি দগ্ধ হন।”
ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ছুটে যান আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাসুদ পুড়ে মারা গেছে।
মাসুদের পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ও তার ফুপাতো ভাই জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, গতকাল রাতে ৮১১ পশ্চিম কাজীপড়ার বাসার দোতলায় নিজের শয়নকক্ষে ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মাসুদ। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ল্যাপটপটি বিস্ফোরিত হলে ওই কক্ষে আগুন ধরে যায়। এ সময় মাসুদ ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনে তাঁর সারা শরীর ঝলসে যায়।
কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে মাসুদকে বের করা হয়। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিত্সা না পেয়ে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটি নেওয়া হয়। হাসপাতালে উপস্থিত মিরপুর থানার উপপরিদর্শক মল্লিক ফারুকুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হতে পারে।
মাসুদের ছিন্নভিন্ন ল্যাপটপ থেকেও ধোঁয়া বের হচ্ছিল জানিয়ে জিয়া বলেন, সেটি বিস্ফোরিত হয়েই ঘরে আগুন লাগে বলে তারা ধারণা।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাসুদ বিবাহিত। স্কুল-পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে মাসুদ একাই ওই বাসায় থাকতেন। স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে তার সম্পর্ক নেই। মাসুদের বাবার নাম বদরউদ্দিন আহমেদ। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আগে এবি ব্যাংকে চাকরি করলেও মাসুদ বেশ কিছুদিন আগে তা ছেড়ে দিয়ে পারিবারিক ব্যবসা দেখভাল করা শুরু করেন বলে তার ফুপাত ভাই জানান।
এবিষয়ে ফেসবুকে তার স্টাটাসে লিখেছেন -
ল্যাপটপ বিস্ফোরিত হয়ে মারা গেছে ব্যাপারটা মোটেও বিশ্বাস হলো না। ল্যাপটপের ভিতরে তেমন কিছু নাই যেটা বিস্ফোরিত হয়ে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কত ডিগ্রি তাপমাত্রা ক্রস করলে আগুন ধরে যায় জানি না, তবে ১০৫ ডিগ্রির উপরে গেলে ল্যাপটপের প্রসেসর নিজেই সিস্টেম ফোর্সড শাটডাউন করে দিবে। তাছাড়া, ল্যাপটপ বন্ধ করে চার্জ দিলে ল্যাপটপ গরম হয় না। শুধুমাত্র অপারেশনাল সিচুয়েশনেই ল্যাপটপ গরম হয়।
প্রাকটিক্যাল এক্সপেরিয়েন্সে বিছানার উপরে রেখেই প্রায়ই চলে আমার ল্যাপটপ। কখনো সিস্টেম টেম্পারেচার ৬৫ ক্রস করতে দেখি নাই। বিশ্বাস হয় না এতটুকু তাপমাত্রায় আগুন ধরে যাবে।
একমাত্র বিপদজনক অংশটুকু হচ্ছে এডাপ্টর। কিন্তু অনেক এডাপ্টর জ্বলতে দেখেছি, কোন আগুনের ছিটেফোটা দেখলাম না। বিশাল শব্দ হলো, এডাপ্টর গরম হয়ে থাকলো বেশ কিছুক্ষন। ব্যাস! কেউ নিশ্চয়ই এডাপ্টরটাও বিছানায় নিয়ে উঠবে না, উঠলেও এরকম কিছু হওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস হয় নি।
নিশ্চয় এক্সপ্লোসিভ কিছু নিয়া নাড়াচাড়া করতেসিল। সেখান থেকেই আগুন ধরেছে আর দোষ পড়ল বেচারা ল্যাপটপ এর।
ল্যাপটপ বিস্ফোরিত হয়ে মারা গেছে ব্যাপারটা মোটেও বিশ্বাস হলো না। ল্যাপটপের ভিতরে তেমন কিছু নাই যেটা বিস্ফোরিত হয়ে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কত ডিগ্রি তাপমাত্রা ক্রস করলে আগুন ধরে যায় জানি না, তবে ১০৫ ডিগ্রির উপরে গেলে ল্যাপটপের প্রসেসর নিজেই সিস্টেম ফোর্সড শাটডাউন করে দিবে। তাছাড়া, ল্যাপটপ বন্ধ করে চার্জ দিলে ল্যাপটপ গরম হয় না। শুধুমাত্র অপারেশনাল সিচুয়েশনেই ল্যাপটপ গরম হয়।
প্রাকটিক্যাল এক্সপেরিয়েন্সে বিছানার উপরে রেখেই প্রায়ই চলে আমার ল্যাপটপ। কখনো সিস্টেম টেম্পারেচার ৬৫ ক্রস করতে দেখি নাই। বিশ্বাস হয় না এতটুকু তাপমাত্রায় আগুন ধরে যাবে।
একমাত্র বিপদজনক অংশটুকু হচ্ছে এডাপ্টর। কিন্তু অনেক এডাপ্টর জ্বলতে দেখেছি, কোন আগুনের ছিটেফোটা দেখলাম না। বিশাল শব্দ হলো, এডাপ্টর গরম হয়ে থাকলো বেশ কিছুক্ষন। ব্যাস! কেউ নিশ্চয়ই এডাপ্টরটাও বিছানায় নিয়ে উঠবে না, উঠলেও এরকম কিছু হওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস হয় নি।
নিশ্চয় এক্সপ্লোসিভ কিছু নিয়া নাড়াচাড়া করতেসিল। সেখান থেকেই আগুন ধরেছে আর দোষ পড়ল বেচারা ল্যাপটপ এর।
No comments :
Post a Comment